মোংলা বন্দর বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে খুলনা বিভাগে অবস্থিত একটি সমুদ্র বন্দর। এটি বাংলাদেশের ২য় বৃহত্তম এবং ২য় ব্যস্ততম সমুদ্র বন্দর। এটি খুলনা শহর থেকে ৪৪ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। বন্দরটি ১ ডিসেম্বর, ১৯৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।এই বন্দরের আদি নাম চালনা বন্দর এটি প্রথমে খুলনার চালনা তে প্রতিষ্ঠিত হয় পরবর্তীতে বন্দরের জন্য প্রয়োজনীয় ভৌগলিক অবস্থান গত সুবিধার কারনে চালনা থেকে কিছুদুর সামনে মংলায় স্থানান্তরিত হয়...এটা বাংলাদেশের ৩য় বৃহত্তম নগর খুলনার সমুদ্র বন্দর এবং খুলনা মহানগরীর খালিশপুরে মোংলা বন্দরের কাস্টমস অফিস, প্রধান অফিস অবস্থিত।এছাড়া পরিচালনা পরিষদের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কার্যালয় এবং বাসভবন সহ যাবতীয় প্রাতিষ্ঠানিক অবস্থান বেশিরভাগই খুলনা মহানগরীতে অবস্থিত।এটি খুলনার বন্দর বিধায় এটি খুলনা শহর থেকে পরিচালিত হয়।এটি খুলনা-বাগেরহাট সীমান্তের াবুনিয়া মৌজায় পশুর নদী ও মোংলা নদীর সংযোগসভাবস্থলে থিত। এটি পশুর নদী ও মংলা নদীর বঙ্গোপসাগরের সংযোগস্থলে অবস্থিত। বর্তমানে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরের পরেই বাংলাদেশের সব থেকে বড় এবং ব্যস্ততম সমুদ্র বন্দর হলো এটি। বঙ্গোপসাগর এর খুব কাছেই অবস্থিত বন্দরটি। পশুর নদীর গভীরতা এবং নাব্যতা অনেক বেশি থাকায় বিশাল আকারের মালবাহী সহ যে কোনো ভেসিল জাহাজ সহজে প্রবেশ করতে পারে।এটি অভ্যন্তরীণ নদী বন্দরসমূহ খুলনা নগরীর মাধ্যমে সারাদেশের সাথে রেলপথে সংযুক্ত।এছাড়া মংলা]] ও খুলনা নগরীর সুবিধার্তে নির্মাণাধীন রয়েছে খান জাহান আলী বিমানবন্দর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সামুদ্রিক বন্দর চট্টগ্রামের উপর চাপ বেড়ে যাওয়ায়, অনেক আন্তর্জাতিক জাহাজ কোম্পানি বিকল্প রুট হিসেবে মোংলা বন্দরকে বেঁছে নিয়েছে। এছাড়া প্রতিবেশী দেশ ভারত নেপাল ভুটানের সরকার মোংলা বন্দরকে বেশ গুরুত্ব দিয়ে ব্যবহার করছে আঞ্চলিক বাণিজ্যিক পণ্য আদান প্রদানের ক্ষেত্রে। এছাড়া মোংলার কাছেই খান জাহান আলী বিমানবন্দর এবং রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বিভাগীয় নগরী খুলনা,বাগেরহাট,বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল,স্থলবন্দর ভোমরা সহ দারুণ ভৌগলিক অবস্থান এবং বন্দর টিকে ঘিরে একাধিক মেগাপ্রকল্প নেওয়ায় এটি খুব লাভজনক সমুদ্র বন্দরে পরিণত হয়েছে।